দিনাজপুর নামের উৎপত্তি
১৭০৪ -২৭ সালে বাংলা সুবাহকে ১৩টি চাকলায় বিভক্ত করলে দিনাজপুর নামে কোন মহল বা পরগনার নাম পাওয়া যায় না। আকবরনগর ও চাকলা ঘোড়াঘাটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
নামের ব্যপারে ২টি কিংবদন্তি –
১। দেবকীন্দন ঘোষ বরধকুটির (রংপুর) রাজা আরজাবরের কর্মচারী ছিলেন। তদপুত্র হরিরাম নামান্তরে (দিনওয়াজ) রাজা গণেশের কর্মচারী ছিলেন। রাজা গনেশের মৃত্তু হলে দিনওয়াজ গনেশ পুত্র যদুনারায়নের পেশকার নিযুক্ত হন। পরবর্তিতে যদু ইসলাম গ্রহন করলে মনের দুঃখে দিনওয়াজ পেশকার চাকরীতে ইস্তফা দিয়ে উত্তরবঙ্গে চলে আসেন এবং সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তিনি যে যায়গায় বসবাস শুরু করেন তার নামানুসারে উক্ত যায়গার নাম হয় দিনাজপুর।(যোগীন্দ্রচন্দ্র চক্রবত্তী, উত্তরবংগ সাহিত্য সন্মিলন,পৃঃ ৩৯৮-৪০০)।
২। দিনাজপুর রাজবংশ ভাতুরিয়ার জমিদার রাজা গনেশের বংশধর। এই গনেশেই পরবর্ত্তিতে বাংলার সিংহাসন দখল করেন। অনেকে আবার রাজা গনেশকে অন্যতম ‘বারভুইয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। আরেক সুত্রে জানা যায় যে রাজা গনেশ দনুজমরদন নাম নিয়ে দিনাজপুরে বসবাস করতেন বলে উক্ত যায়গাটি ‘দনুজপুর’ নামে অভিহিত ছিল যা পরবর্তিকালে দিনাজপুর নামে পরিবর্তিত হয়। (সৈয়দ মোশাররফ হোসেন, দিনাজপুরের ইতিহাস – ২য় সং ১৯৬৫ পৃঃ১-৫)।
দিনাজপুর জমিদার বংশের সাথে রাজা গনেশের কোন সম্পর্ক রয়েছে এ তথ্য মানতেই অনেকে রাজি নন বিশেষভাবে দিনাজপুর রাজবংশের গ্রন্থকার মেহরাব আলী ও খ্যাতনামা প্রত্নতত্তবিদ আ,ক,ম যাকারিয়া।